সারা বিশ্বে অক্টোবর মাস জুড়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। আসুন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করি যা প্রত্যেকের এই রোগ সম্পর্কে জানা উচিত।
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) হল কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা স্তনের নালী এবং লোবকে রেখাযুক্ত করে। পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার হতে পারে তবে এটি সারা বিশ্বে 1%এরও কম। সমস্ত মহিলাদের স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের সাথে সম্পর্কিত সুবিধা, সীমাবদ্ধতা এবং সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে জানা উচিত। আপনার যদি জেনেটিক্যালি স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করুন।
নীচে তালিকায় সাধারণ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরা হল:
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম করতে উন্নত জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল এবং তামাক জাতীয় জিনিসের ব্যবহার সীমিত করা বা এড়িয়ে চলা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং প্রয়োজনের সময় সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো। এছাড়াও হরমোন থেরাপির ডোজ, সময়কাল, অতিবেগুনী রশ্মি (UV radiation) এবং শক্তিশালী রাসায়নিকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রতি মাসে একবার স্তনের পরীক্ষা নিজেই করে দেখুন। আয়নার সামনে দাঁড়ান এবং খুঁটিয়ে দেখুন। আপনি যখন শুয়ে থাকেন বা দাঁড়ান তখন আপনার স্তন নরম বোধ করা উচিত। আপনি আপনার ডান হাত দিয়ে বাঁ দিকের স্তন এবং বাঁ হাত দিকের হাত দিয়ে ডান দিকের স্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। আলতো হাতে চাপ দিয়ে দেখুন, যদি অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন আতঙ্কিত হবে না। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। স্তন ফুলে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়ার মতোও লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আপনি যদি 10 দিনের বেশি সময় ধরে ফুসকুড়ি, লালভাব দেখতে পার তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করা হবে। স্তন বৃন্ত থেকে দুধ ছাড়া অন্য কোনও স্রাব বেরোচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
স্ক্রিনিং পরীক্ষাগুলি খুবই কার্ষকর, প্রাথমিক পর্যায়ে টিউমার শনাক্ত করার জন্য। এতে চিকিৎসায় ইতিবাচক ফলাফল দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন মহিলাদের প্রত্যেক বছর এমআরআই (MRI) এবং ম্যামোগ্রাম করা উচিত।
সাধারণ স্ক্রিনিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী, 40 থেকে 44 বছর বয়সী মহিলাদের বার্ষিক স্ক্রিনিং করানো উচিত যদি তারা করাতে চায়। 45 থেকে 54 বছর বয়সী মহিলাদের প্রতি বছর ম্যামোগ্রাম করা উচিত। যাদের বয়স 55 বা তার বেশি তাদের প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর ম্যামোগ্রাম করা উচিত অথবা প্রত্যেক বছর চালিয়ে যাওয়া উচিত।
30 বা তার কম বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রস্তাবিত নির্দেশিকা নেই। বয়স নির্বিশেষে, নিয়মিত নিজে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং আপনি যদি অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
ক্যান্সারের নাম শুনলেই যেখানে গায়ে কাঁটা দেয়, সেখানে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া খুব একটা সহজ নয়। প্রথমত লড়াই করতে নিজের মনকে শক্ত করতে হবে, প্রয়োজনে এমন অনেক ক্যান্সার সহায়তা গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনার আশপাশে এই ধরনের কোনও প্রুপ খুঁজে পান। ব্যাঙ্গালোরে Onco-র একটি ক্যান্সার সহায়তা গোষ্ঠী রয়েছে, যার নাম টক ইওর হার্ট আউট (TYHO)। যেখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন পাশাপাশি অন্যান্য ক্যান্সার ফাইটারদের জার্নি সম্পর্কে জানতে পারবেন, রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও আলোচনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন –
ক্যান্সারের চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও সাহায্যের জন্য 9019923337 নম্বরে কল করুন অথবা ডাউনলোড করুন Onco Cancer Care অ্যাপ।
ইমিউনোথেরাপিকে বায়োলজিক থেরাপিও বলা হয়। ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির লক্ষ্য ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের শক্তিকে শক্তিশালী করা এবং বজায়…
কোলন ক্যান্সার হল এক ধরনের ক্যান্সার যা বৃহদান্ত্রের অংশে (কো-লোন) শুরু হয়। কোলন হল পরিপাকতন্ত্রের চূড়ান্ত অংশ। কোলন ক্যান্সার সাধারণত…
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে কে না ভয় পায় বলুন! কিন্তু যখন শিশুদের ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন তাদের বাবা-মায়ের কাছে সময়টা…
কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল শরীরের সামগ্রিক ব্লাড সেল কাউন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া।
এইচপিভি হল সবচেয়ে সাধারণ যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ, এবং প্রায় সমস্ত যৌন সক্রিয় পুরুষ বা মহিলা তাদের জীবনের কিছু সময়ে এইচপিভিতে সংক্রমিত…
যেহেতু ক্যান্সার তার প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখায় না, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার প্রায়শই উন্নত পর্যায়ে ধরা পড়ে। সঠিক চিকিৎসা…