ক্যান্সার রোগীরা তাদের ক্যান্সারের চিকিৎসার (cancer treatment) পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে বা তাদের ক্যান্সারের প্রকৃতি এবং অবস্থানের কারণে পায়ে ক্র্যাম্প (leg cramps) অনুভব করতে পারেন।
কখনও কখনও অন্যান্য কারণ যেমন প্রাক-বিদ্যমান চিকিৎসা পরিস্থিতি বা ডিহাইড্রেশনের জন্যেও পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে যদি কোনও কাজকর্ম না করেন তাহলেও এই অবস্থা হতে পারে।
আপনি যদি আপনার পা, গোড়ালি বা পায়ের পেশীগুলিতে ব্যথা অনুভব করেন তবে পায়ে ক্র্যাম্পের সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পা নাড়াতে অসুবিধা হতে পারে, কারণ পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়।
এই নিবন্ধে আমরা আপনার সঙ্গে পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ার কারণগুলি কি কি এবং এর থেকে নিস্তারের সহজ ১০টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
পায়ে ক্র্যাম্প খুবই বেদনাদায়ক, আপনার উরু, গোড়ালি এবং পায়ের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়।
আপনি যদি ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে, তাহলে পায়ে ক্রাম্প হঠাৎ হঠাৎ বা প্রায়শই হতে পারে। যা পায়ের পেশীগুলিকে শক্ত করে তোলে এবং পা নাড়াতে অসুবিধা হয়।
যদি এই সমস্যা বেশ কয়েক মিনিট ধরে হয়, বা যদি রাতে এটি ঘটে তবে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
অতএব, ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন আপনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, তা আগে থেকেই জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু ক্যান্সারের কারণে পায়ে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে টিউমারের ক্ষেত্রে যা পেশীতে শুরু হয় বা পেশীতে চাপ সৃষ্টি করে।
যারা এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যেই পায়ে ক্র্যাম্প সমস্যায় ভুক্তভোগী। তবে বলে রাখি, এর মধ্যে এমন কয়েকটি ক্যান্সারে পায়ের ক্র্যাম্প আরও ভয়াঙ্কর হতে পারে।
ক্যান্সারের চিকিৎসার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যে কারণে পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে সেগুলি হল:
ক্যান্সার ছাড়া অন্যান্য যে সমস্ত কারণে পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে:
যদিও পায়ের ক্র্যাম্প প্রাণঘাতী সমস্যা নয়, তবে এটি আপনাকে সাময়িক ঘায়েল করতে পারে। কারণ এটি বেদনাদায়ক, এটি আফনার প্রতিদিনের রুটিনকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করতে পারে।
আপনি যদি ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছেন তবে এর কারণে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কারণ বেশিরভাগই রাতের দিকে এই সমস্যা দেখা দেয়।
পায়ে ক্র্যাম্পের জন্য আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করার দরকার নেই, বিশেষ করে আপনি যখন ক্যান্সারের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেন এবং আরোগ্য কামনা করছেন।
নীচে উল্লেখিত প্রতিকারগুলি ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে ভুলবেন না। কারণ ডাক্তারই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন, যে কোনটি আপনার শরীরের জন্য ভালো।
১. শুতে যাওয়ার আগে আলতো করে পা সোজা করুন বসুন। পায়ে ক্র্যাম্প না হলে এই অভ্যাস কয়েকবার করুন।
২. আপনার পা আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। উরু থেকে হাঁটু এবং গোড়ালি পর্যন্ত। তবে খুব জোরে চাপ দেবেন না। হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে তেল বা বডি লোশনের ব্যবহার করতে পারেন।
৩. খুব ঠান্ডা তাপমাত্রা অনেকের পায়ে ক্র্যাম্পের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে উষ্ণতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ঢিলেঢালা, উষ্ণ লেগওয়্যার যেমন উলের মোজা পরুন। প্রয়োজনে আপনার পায়ের উপর কম্বল রাখুন, পায়ের কাছে গরম জলের বোতলও রাখতে পারেন।
৪. আপনি যদি শয্যাশায়ী বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন তালে মাঝে মাঝেই আপনার অবস্থান পরিবর্তন করুন এবং আপনার পা নড়াচড়া করুন। একবার করে পা ভাঁজ করুন এবং সোজা করুন। শুয়ে থাকা অবস্থায় স্ট্রেচিং ব্যায়ামটিও করতে পারেন।
৫. সারাদিনে পর্যাপ্ত জল এবং তরল খাবার খান। যদিও এর ফলে আপনাকে বার বার ওয়াশরুমে যেতে হবে। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন যা পায়ে ক্র্যাম্পের সমস্যা প্রতিরোধ করবে।তবে যদি পায়ের ক্র্যাম্প ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়, তাহলে ডাক্তার আপনার ডায়েটে প্রয়োজনমতো সম্পূরক অন্তর্ভুক্ত করবেন।
৬. যদি আপনাকে বিছানাতেই থাকতে হয় এবং পায়ের উপর কম্বল চাপিয়ে রাখতে অসুবিধা হয়, তাহলে বিছানার উপর কম্বল বিছিয়ে শুতে পারেন। তা অনেকবেশি আরামদায়ক হবে, উষ্ণতাও বজায় থাকবে।
৭. আপনার যখন পায়ে ক্র্যাম্প হয় বা ক্র্যাম্প হতে পারে বলে মনে হচ্ছে, তখন পায়ের পেশীগুলো প্রসারিত করুন। আপনি যদি শুয়ে থাকেন তাহলে উঠে বসুন এবং পা সোজা করে মেলুন। আর যদি হাঁটুতে ক্র্যাম্প হয় তাহলে পেশীগুলিকে সহজ করতে একটু হাঁটাচলা করুন বা সোজা হয়ে পা মেলে বসুন এবং পায়ের আঙুলগুলো হাঁটুর দিকে অর্থাৎ ভিতরের দিকে করার চেষ্টা করুন।
৮. আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন, পায়ের ক্র্যাম্প প্রতিরোধ করতে বিকল্প হিসেবে ঠান্ডা বা গরম প্যাক বা তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন কিনা। আপনি ঠান্ডা বা গরম, কোন ধরনের তাপ নিরাপদে ব্যবহার করতে পারবেন তার সঠিক পরামর্শ পাবেন ডাক্তারের কাছে। পেশী শিথিল করতে গরম জলে স্নান করতে পারেন।
৯. যদি আপনার পায়ে ক্র্যাম্প ক্রমাগত হতেই থাকে এবং অসহ্যকর ব্যথা হয়, তাহলে ডাক্তার এটি কমাতে বা প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত ওষুধের পাশাপাশি পেশী শিথিল করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
১০. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, খরমুজ, কিশমিশ, দই, রান্না করা পালং শাক, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি আপনার ডায়েটে রাখুন।
আপনি যখন ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন তখন পায়ে ক্র্যাম্পের সমস্যা হতে পারে। যা অনেক বেশি বেদনাদায়ক এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
পায়ে ক্র্যাম্প সমস্যা যদি এমনটা হয় তালে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন:
আপনি যখন ক্যান্সারের সর্বোত্তম চিকিৎসা পাচ্ছেন, পায়ে বেদনাদায়ক ক্র্যাম্পের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি এমন কোনও ঘরোয়া সহজ উপায় জানা থাকে বা আপনি নিজে বাড়িতে চেষ্টা করতে পারেন, সেগুলি অবশ্য়ই চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার পরিবারের কারও সাহায্য পেশীগুলিকে সহজ রাখার চেষ্টা করুন।
ক্যান্সারের চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও সাহায্যের জন্য 9019923337 নম্বরে কল করুন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিকটবর্তী Onco ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারে যান, অথবা ডাউনলোড করুন Onco Cancer Care অ্যাপ।
আরও পড়ুন : কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকারের উপায়
(Adipex/)
A team of experienced SEO specialists who specialize in black site promotion in Google search results. We offer hacked sites…
A team of experienced SEO specialists who specialize in black site promotion in Google search results. We offer hacked sites…
A team of experienced SEO specialists who specialize in black site promotion in Google search results. We offer hacked sites…
A team of experienced SEO specialists who specialize in black site promotion in Google search results. We offer hacked sites…
These are: Video Slots, Classic Slots, Table Games, Keno, and the new Live Casino. Players can request for a withdrawal…
A team of experienced SEO specialists who specialize in black site promotion in Google search results. We offer hacked sites…